রিজার্ভ চুরিসহ কয়েকটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক খাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবার স্বয়ং হ্যাকারকেই নিয়োগের একটি প্রস্তাব এসেছে।
গভর্নর ফজলে কবিরের উপস্থিতিতে রোববার এক সম্মেলনে এই প্রস্তাব তুলে ধরেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী।
বিআইবিএমের দু’দিনব্যাপী বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, ব্যাংকের আইটি নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ ও সিস্টেম পর্যবেক্ষণের জন্য ‘নৈতিক হ্যাকার’ নিয়োগ দেওয়া দরকার।
তথ্য প্রযুক্তির ভাষায়, হ্যাকিং একটি প্রক্রিয়া যেখানে কেউ বৈধ অনুমতি ছাড়া কোনো কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ঢুকে পড়েন। যারা হ্যাকিং করেন তাদের হ্যাকার বলা হয়। হ্যাকাররা সিস্টেমে ঢুকে ওই নেটওয়ার্কের দখল নিয়ে অনেক কিছুই করতে পারে।
তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে বিভিন্ন দেশে আর্থিক সংস্থায় হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটছে। এই বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যাংক থেকে বাংলাদেশের রিজার্ভের একটি অংশ ফিলিপিন্সের ব্যাংকে পাঠানো হ্যাকারদের কাজ বলে মনে করা হয়। বিআইবিএমের মহাপরিচালক তৌফিক অবশ্য ‘নৈতিক’ শব্দটি ব্যবহার করে সৎ উদ্দেশ্যে সৎ হ্যাকার ব্যবহারের কথা বলছেন।
বিআইবিএম মহাপরিচালক ই-ব্যাংকিংয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতের উপর জোর দিয়ে এই দপ্তরগুলোতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং যোগ্য মানব সম্পদ নিয়োগের সুপারিশ করেন।
তিন বলেন, এটা সময়ের অতি প্রয়োজনীয় দাবি। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এখনও ১৫ শতাংশ ব্যাংকে আইটি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ নেই।
অনুষ্ঠানে গভর্নর ফজলে কবির ব্যাংক খাতে তথ্য প্রযুক্তি সুরক্ষার ওপর জোর দিয়ে বলেন, সম্প্রতি ব্যাংকিং খাতের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আইসিটি খাতের নিরাপত্তা, এটি ভবিষ্যতেরও চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই সবুজ, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।
তথ্য প্রযুক্তি খাতে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মানব সম্পদকে প্রয়োজনীয় সব ধরণের প্রশিক্ষণ দেওয়ার উপর জোর দেন গভর্নর।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সম্মেলন সোমবার শেষ হবে।